হ্যান্ডস অন রিভিউ -ওয়ালটন প্রিমো এইচএম৪ প্লাস (Primo HM4+)

ওয়াল্টন একের পর এক নতুন ফোনের চমক দিয়েই যাচ্ছে। তার ধারাবাহিকতায় আবার বাজারে এনেছে


Walton (Primo HM4+)

প্রিমো এইচএম৪ (Primo HM4) এর সাক্সেসর হিসেবে একদম নতুন স্মার্টফোন প্রিমো এইএম৪ প্লাস (Primo HM4+)। 

২১০০ টাকা দাম বৃদ্ধিতে এটি ক্যামেরা এবং র‍্যাম/রম এর দিক দিয়ে প্রিমো এইচএম৪ এর তুলনায় থাকছে একধাপ উন্নত। 



ওয়ালটন প্রিমো এইচএম৪ প্লাস ডিভাইসটির বক্স আনবক্স করলে আমরা যা যা পাব  
  • প্রিমো এইচএম৪ প্লাস ডিভাইসটি
  • একটি স্ক্রাচ প্রটেকটর গ্লাস
  • একটি ট্রান্সপারেন্ট ব্যাক কভার
  • ওয়ারেন্টী কার্ড ও ইউজার ম্যানুয়াল
  • একটি চার্জার এডাপ্টার ও ইউএসবি ক্যাবল
  • একটি মিডিয়াম কোয়ালিটি হেডফোন

এক নজরে প্রিমো এইচএম৪ প্লাস
  • ৫.৫”  IPS ডিসপ্লে
  • ২.৫ডি কার্ভড ডিসপ্লে
  • অ্যান্ড্রয়েড ৭.০ নগাট
  • ১.৩ গিগাহার্জ কোয়াড কোর প্রোসেসর
  • রিয়ার ১৩ মেগাপিক্সেল অটোফোকাস (সাথে এলইডি ফ্ল্যাস)
  • ফ্রন্ট ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা (সাথে সফট-এলইডি ফ্ল্যাস)
  • ৩৮০০ এমএএইচ লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি

ক্যামেরা :

আগের এইচএম৪ (Primo HM4) মডেলটির চাইতে  ক্যামেরার দিক দিয়ে আপগ্রেড পাবে ব্যবহারীররা। সেলফি তোলেন তাদের জন্য তো স্মার্টফোনের সামনে  বিএসআই সেন্সরযুক্ত ৮ মেগাপিক্সেল সেকেন্ডারি ক্যামেরা থাকছেই। তবে  মূল ক্যামেরা বা প্রাইমারি ক্যামেরা ৮ মেগাপিক্সেল এর জায়গায় ১৩ মেগাপিক্সেল দেয়া হয়েছে।  ফ্রন্ট ক্যামেরায় অন্ধকারের সময় আলোর জোগান দিতে  রয়েছে একটি সিঙ্গেল এলইডি ফ্ল্যাস। আগের মত সেকেন্ডারি ফ্রন্ট ফেসিং এই ক্যামেরাটিতে ফেস ডিটেকশন, অটো ফোকাস, ফিংগারপ্রিন্ট ক্যাপচার ইত্যাদির মত সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে।
বেঞ্চমার্কঃ  গীকবেঞ্চে সিঙ্গেল কোরে এর স্কোর এসেছে ৪১৮ এবং মাল্টি কোরে এসেছে ১২১০ ।
 ইউআইঃ অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে থাকছে, লেটেস্ট এনড্রয়েড ৭.০ নগাট সংস্করন। ওয়াল্টন এর অন্যসব ডিভাইস এর মত  ইন্টারফেসটি মূলত স্টক এবং আইকনগুলো কাস্টমাইজড।



নেটওয়ার্কিং ও কানেক্টিভিটি:

নেটওয়ার্কিং ও কানেক্টিভিটির দিক দিয়ে দিয়ে ডিভাইসটি একদম ব্যাসিক। সীম কার্ড ও এসডি কার্ড স্লটে একই সাথে দুটি ন্যানো সীম ও একটি মাইক্রো এসডি কার্ড প্রবেশ করানো যায়। তবে ডিভাইসটি ৪জি সাপোর্টেড নয়।

সেন্সর:

ডিভাইসটিতে সেন্সর হিসেবে রয়েছে মোশন সেন্সর, ব্রাইটনেস কম-বেশি করার জন্য এনভাইরনমেন্ট সেন্সর, পোজিশনিং এর জন্য রয়েছে প্রক্সিমিটি সেন্সর। আর ব্যাকে রয়েছে একটি ফিংগারপ্রিন্ট সেন্সর, যারর রেসপন্স টাইম ০.২-০.৪ সেকেন্ড।

ব্যাটারি

সম্পূর্ণ ডিভাইসকে ব্যাকআপ দিবে একটি ৩৮০০ এমএএইচ লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি। আর যেহেতু লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি, এটি সাইজে অনেক কমপ্যাক্ট হয় আর ওজনেও হয় হালকা। পাওয়ার ধারন করতে পারে বেশি। ৩৮০০ এমএইচ ব্যাটারি দিয়ে, অনায়াসেই একদিন সম্পূর্ণ ব্যাক আপ পাওয়া যাবে। এটি নন রিমুভেবল ব্যাটারি ।
দাম :
প্রায় ১০ হাজার টাকা দাম হিসেবে 4G না থাকা ডিভাইসটির অন্যতম বড় খারাপ দিক । তাছাড়া অন্যদিক দিয়ে তুলানামুলকভাবে ডিভাইস টিকে মোটামোটী বলা যায়। তবে ওয়ালটন এর উচিত সমালোচিত এই মিডিয়াটেক শ্রেণি থেকে বের হয়ে হাই- এন্ড প্রসেসর বিভাগে ঢোকা । 

আশা করি আজকের রিভিউ টি ভালো লেগেছে । 
অবশ্যই কমেন্ট করুন বন্ধুরা। ধন্যবাদ



Comments